তাওফিকুল হাসান তুরাব, ডিআইইউ প্রতিনিধি :
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দ্বীনের দাওয়াতের মেহেনতে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্প্রতি তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের সদস্যদের সঙ্গে ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নেন।
গত শুক্রবার তাঁরা বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদে জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান প্রদান করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সম্মানিত ট্রেজারার ড. মাহবুবুর রহমান এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
বয়ান শেষে তাবলীগ জামাতের ভাইদের পক্ষ থেকে বিশেষ আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে সবাই একত্রে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা জামে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে জামাতের সঙ্গে আসরের নামাজ আদায় করেন।
ইজতেমাস্থলে একে একে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামপ্রেমী শিক্ষার্থীরা।
আসরের নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের প্রধান মুরুব্বি (শুরা ফায়সাল) হযরত সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (দাঃ বাঃ)। তিনি বলেন,
❝বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্বীনের দাওয়াতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। দ্বীনকে পড়াশোনার বাধা নয়, বরং সহায়ক শক্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ক্লাস ও পড়াশোনা ঠিক রেখে অবসর সময়ে দ্বীনের পথে ব্যয় করতে হবে; কখনো ক্লাস শেষে, কখনো সপ্তাহ বা মাসের শেষে। সেমিস্টার ব্রেকগুলোতেও অন্তত ১০ দিন তাবলীগে সময় দেওয়ার চেষ্টা করবে। দ্বীনের খেদমতে যেন পড়াশোনায় ব্যাঘাত না ঘটে, বরং উদ্দেশ্য ঠিক রেখে দুই দিকই সুন্দরভাবে সামলাতে হবে। আমাদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যই জান্নাত লাভ।❞
তিনি আরও বলেন, ❝আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্বীনের প্রতি মোহাব্বতের কারণেই বিদেশে গিয়েও দ্বীন প্রচারে সময় দিতে পারছেন। তোমরাও তাঁদের মতো হবে। নিজে আলোকিত হয়ে দেশ-বিদেশে সেই আলো ছড়িয়ে দিতে হবে।❞
আলোচনা শেষে মাগরিবের নামাজ আদায় করে সম্মিলিতভাবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। সবশেষে এশার নামাজ শেষে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে সবাই নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।